সূরা ওয়াকিয়া (সুরা ৫৬) এর ফজিলত ও আমল
সূরা ওয়াকিয়া কুরআনের ৫৬তম সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটি দারিদ্র্য দূর করা, রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম এবং মৃত্যুর পর জান্নাতের সুসংবাদ দেয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা।
🌟 সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত
✅ ১. দারিদ্র্য দূর হয় ও রিজিক বৃদ্ধি পায়
- হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াকিয়া পড়বে, কখনো দারিদ্র্যের শিকার হবে না।”
(ইবনে মাজাহ ৪১০০, বায়হাকি ৬/২০৫)
✅ ২. মৃত্যুর সময় সহজ হবে
- হাদিসে এসেছে:
“যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, তার মৃত্যু সহজ হবে।”
(তাবারানি ৭৬৪৭, ফাযায়েলে কুরআন ৪২০)
✅ ৩. জান্নাতের সুসংবাদ
- এই সূরায় তিনটি শ্রেণির মানুষের কথা বলা হয়েছে:
- সাবিকুন (সর্বোচ্চ মর্যাদার মানুষ) – যারা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত।
- আসলহুল ইয়ামিন (ডানহাতি দল) – যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- আসলহুল শিমাল (বামহাতি দল) – যারা জাহান্নামে যাবে।
✅ ৪. কবরের আযাব থেকে মুক্তি
- যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ওয়াকিয়া পড়ে, তার কবরের আযাব কম হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।
📖 সূরা ওয়াকিয়ার আমল ও নিয়ম
📌 প্রতিদিন এশার নামাজের পর ১ বার পড়া – দারিদ্র্য দূর ও রিজিক বৃদ্ধির জন্য।
📌 ফজরের পর ১ বার পড়া – সারাদিন বরকত ও সহজতার জন্য।
📌 ঘুমানোর আগে পড়া – সারা জীবনের জন্য দারিদ্র্য মুক্তির জন্য।
📌 কঠিন বিপদে পড়লে ৩, ৭ বা ৪১ বার পড়া – আল্লাহর রহমতের জন্য।
✨ উপসংহার
সূরা ওয়াকিয়া আমাদের জন্য রিজিকের বরকত, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, সহজ মৃত্যু এবং জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে এসেছে। এটি প্রতিদিন পড়ার মাধ্যমে আমরা আধ্যাত্মিক ও দুনিয়াবি ফজিলত লাভ করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আমল করার তাওফিক দিন। 🤲 আমিন!




Reviews
There are no reviews yet.