সূরা ইয়াসীন-এর ফজিলত ও আমল
সূরা ইয়াসীন কুরআনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সূরা। একে “কুরআনের হৃদয়” (قلب القران) বলা হয়। হাদিস ও ইসলামী গ্রন্থে এর বহু ফজিলত ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে।
১. সূরা ইয়াসীন-এর ফজিলত
✅ কোনো কাজ সহজ করার জন্য:
- রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করবে, তার সমস্ত কাজ সহজ হয়ে যাবে।”
(মুসনাদে আহমদ: ১৯৪৮৯, দারিমি: ৩৪০৭)
✅ মৃত্যুর সময় পাঠ করলে রহমত নেমে আসে:
- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“তোমরা তোমাদের মরণাপন্ন ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করো।”
(আবু দাউদ: ৩১২১, ইবনে মাজাহ: ১৪৪৮)
✅ গুনাহ মাফের জন্য:
- নবীজি (সাঃ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি রাতে সূরা ইয়াসীন পড়বে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।”
(তাবারানি: ৭৫৩৮, বাইহাকী: ৬৩৮৭)
✅ কবরের আজাব থেকে মুক্তির জন্য:
- এক হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসীন পড়বে, আল্লাহ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
২. সূরা ইয়াসীন-এর আমল
🔹 প্রতিদিন ফজরের পর পাঠ করুন:
- কাজ সহজ হওয়ার জন্য ও বরকতের জন্য।
🔹 রাতে শোবার আগে পড়ুন:
- গুনাহ মাফ ও নিরাপত্তার জন্য।
🔹 কারো মৃত্যুর সময় পড়া:
- মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির জন্য এটি সুপারিশ করবে।
🔹 অসুস্থ ব্যক্তির জন্য পড়া:
- রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
🔹 যেকোনো কঠিন সমস্যায় পড়লে সূরা ইয়াসীন পড়ে দোয়া করুন।
৩. সূরা ইয়াসীন কবে পড়া উত্তম?
📌 ফজরের পর – দিন ভালো কাটবে
📌 রাতে শোবার আগে – গুনাহ মাফ হবে
📌 মৃত্যুপথযাত্রীর কাছে – সহজ মৃত্যু হবে
📌 অসুস্থ হলে – আরোগ্য লাভের আশায়
📌 কোনো কাজের জন্য দোয়া করার সময়
উপসংহার
সূরা ইয়াসীন শুধু পড়লেই হবে না, বরং এর অর্থ ও শিক্ষাগুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাধ্যম হতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়মিত সূরা ইয়াসীন পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন! 🤲




Reviews
There are no reviews yet.