চার কুলের ফজিলত ও আমল
১. সূরা কাফিরুন (সুরা ১০৯) – ঈমানের ঘোষণা
✅ শিরক ও কুফরি থেকে বাঁচার জন্য:
- রাসুল (সাঃ) বলেছেন:
“সূরা কাফিরুন হলো শিরকের বিরুদ্ধে উক্তি।”
(তিরমিজি ৩৪০৩, সহিহ)
✅ ঘুমানোর আগে পাঠ করলে শিরক থেকে মুক্ত থাকা যায়: - নবীজি (সাঃ) ঘুমানোর আগে এই সূরা পড়ার তাগিদ দিতেন।
(আবু দাউদ ৫০৫৫)
২. সূরা ইখলাস (সুরা ১১২) – তাওহিদের ঘোষণা
✅ পুরো কুরআনের ১/৩ অংশের সমান সওয়াব:
- রাসুল (সাঃ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করবে, সে সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করার সমান সওয়াব পাবে।”
(বুখারি ৫০১৩, মুসলিম ৮১২)
✅ জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ: - যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইখলাস পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
৩. সূরা ফালাক (সুরা ১১৩) – জাদু ও বিপদ থেকে রক্ষা
✅ জাদু, শয়তান ও সকল অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা:
- রাসুল (সাঃ) বলেন:
“সূরা ফালাক পাঠ করলে সমস্ত অশুভ শক্তি থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যায়।”
(তিরমিজি ২০৬৫)
✅ প্রতিদিন সকালে ও রাতে পড়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
৪. সূরা নাস (সুরা ১১৪) – শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা
✅ মানুষ ও জিনের শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার জন্য:
- এই সূরা পাঠ করলে মানুষের অন্তরে যে খারাপ চিন্তা আসে, তা দূর হয়।
✅ গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বাঁচার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
চার কুলের আমল করার নিয়ম
📌 সকালে ও সন্ধ্যায় – ৩ বার করে পড়লে সকল বিপদ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
📌 ঘুমানোর আগে – দুই হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিলে শয়তান ও দুঃস্বপ্ন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
📌 নামাজের পর – ১ বার করে পড়লে অনেক ফজিলত পাওয়া যায়।
📌 জাদু-টোনা, বদনজর ও অশুভ শক্তি থেকে রক্ষার জন্য – ৩ বার করে পড়া উত্তম।
📌 যেকোনো বিপদ বা সমস্যায় পড়লে – এই চারটি সূরা বেশি বেশি পড়া উত্তম।
উপসংহার
চার কুল (সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়ার মাধ্যমে আমরা শিরক, জাদু, শয়তানের কুমন্ত্রণা, অশুভ শক্তি ও বিভিন্ন বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে পারি। রাসুল (সাঃ) এগুলো নিয়মিত পড়তেন এবং আমাদেরও প্রতিদিন আমল করার পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন! 🤲




Reviews
There are no reviews yet.